সরকারি প্রতিষ্ঠান কি ? স্বায়ত্তশাসিত প্রতিষ্ঠান কি? আধা সরকারি প্রতিষ্ঠান কি?

স্বায়ত্তশাসিত

স্বায়ত্তশাসিত প্রতিষ্ঠান হলো ওইসব প্রতিষ্ঠান গুলো, যেগুলো সরকারি অর্থায়নে পরিচালিত হয়, তাদের নিজেদের প্রতিষ্ঠানের জন্য, নিজেদের আইন তৈরি করার অধিকার আছে এবং নিজেদের মতো করে নিজেদের প্রতিষ্ঠান পরিচালনা করে, যে পরিচালনার ভিতর সরকার বা অন্য কোন প্রতিষ্ঠান হস্তক্ষেপ করে না

 

আধা সরকারিঃ

আধা সরকারি বলতে- যেসব প্রতিষ্ঠানে সরকারের প্রায় ৫০% শেয়ার বা অংশীদার থাকে, সেসব প্রতিষ্ঠানকেই বুঝায় এসব প্রতিষ্ঠান কিছুটা সরকারি রুল মেনে চলে, তবে এদের বেতন কাঠামো ভিন্ন (স্বতন্ত্র) এক কথায়- এসব চাকরিগুলো হল নগদে চাকরি

 

যেসব স্বায়ত্তশাসিত প্রতিষ্ঠান বাজেটিং এর জন্য সরকারের উপর নির্ভরশীল সেগুলো হলো পাবলিক প্রতিষ্ঠান  পাবলিক প্রতিষ্ঠানে সরকার পরোক্ষ ভাবে হস্তক্ষেপ করতে পারে অর্থাৎ যেসব স্বায়ত্তশাসিত প্রতিষ্ঠানে সরকারের পরোক্ষ হস্তক্ষেপ রয়েছে সেগুলো পাবলিক প্রতিষ্ঠান 


 

সরকারি প্রতিষ্ঠান কি

যে সকল প্রতিষ্ঠানের সব কিছু সরকার পরিচালনা , নিয়ন্ত্রণ , হস্তক্ষেপ করে সে গুলো হলো সরকারি।সরকারের অধীনেই পরিচালিত হয়  অর্থাৎ সরকারি প্রতিষ্ঠানে সরকারের প্রত্যক্ষ প্রভাব বিদ্যমান। সরকারি যে কোন আদেশ নিষেধ জারি করলে সরকারি প্রতিষ্ঠান গুলো তা অক্ষরে অক্ষরে পালন করে থাকে। তাছাড়া আমরা পিওর সরকারি বা রাজস্বখাতভূক্ত প্রতিষ্ঠান বলতে সরকারি প্রতিষ্ঠানকেই বুঝে থাকি। তবে কেউ কেউ মনে করেন মাসিক পেনশন চালু রয়েছে সে প্রতিষ্ঠানগুলোই সরকারি প্রতিষ্ঠান। মূলত ব্যাপারটি তেমন নয়, একটি রাষ্ট্রয়ত্ত বা স্বায়ত্তশাসিত প্রতিষ্ঠানেও শর্তসাপেক্ষে পেনশন চালু করা যেতে পারে তাই বলে সেগুলো সরকারি প্রতিষ্ঠান নয়। হ্যাঁ একটি কথা স্পষ্ট করা বলা যায় যে, যে সকল প্রতিষ্ঠানের শুরুতে গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকার লেখা থাকে সেগুলো সরকারি প্রতিষ্ঠান। “গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকার” লেখা সম্পর্কিত লোগো এবং লেখাটি কেবল সরকারি প্রতিষ্ঠানেই ব্যবহৃত হতে পারে। আরও একটি বিষয় পরিস্কার করা যায় যে, সরকারি প্রতিষ্ঠানে পেনশন প্রথা চালু রয়েছে।

স্বায়ত্তশাসিত প্রতিষ্ঠান বা Autonomous Bodies কি

যে সকল প্রতিষ্ঠান পরিচালনা , নিয়ন্ত্রণের জন্য নিজস্ব রুলস ও রেগুলেশন রয়েছে ও এগুলোতে সরকার সরাসরি হস্তক্ষেপ করতে পারে না সে গুলো হলো স্বায়ত্তশাসিত প্রতিষ্ঠান।স্বায়ত্তশাসিত প্রতিষ্ঠান বাজেটিং এর জন্য সরকারের উপর নির্ভরশীল হতেও পারে, নাও পারে। কিছু কিছু স্বায়ত্তশাসিত প্রতিষ্ঠান শর্তপূরণ সাপেক্ষে কিছু পদে পেনশন সুবিধা চালু করেছে। তবে স্বায়ত্বশাসিত প্রতিষ্ঠানগুলোতে মাসিক পেনশন চালু না থাকলেও আনুতোষিক সুবিধা চালু রয়েছে। আরও একটি কথা পরিস্কার যে, স্বায়ত্তশাসিত প্রতিষ্ঠানগুলো “গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকার” লেখাটি ব্যবহার করতে পারেনা। তাদের নিজস্ব লোগো রয়েছে এবং প্রতিটি স্বায়ত্তশাসিত প্রতিষ্ঠানে বোর্ড বা বডি গঠন করা রয়েছে। যে প্রতিষ্ঠানগুলো প্রধান কোন চেয়ারম্যান সেগুলো স্বায়ত্তশাসিত প্রতিষ্ঠান। শর্তসাপেক্ষে স্বায়ত্তশাসিত প্রতিষ্ঠানেও পেনশন সুবিধা চালু করার বিধান রয়েছে।

 



 


Post a Comment

Previous Post Next Post