মাধ্যমিক ও উচ্চ মাধ্যমিক শিক্ষা বোর্ড রাজশাহী
www.rajshahi education board.gov.bd
উচ্চ মাধ্যমিক সার্টিফিকেট (এইচ.এস.সি) পরীক্ষা-২০২০
বিজ্ঞপ্তি
বিজ্ঞপ্তি নম্বর-এইচ.এস.সি-২/২০২০ তারিখ : ২২-০৪-২০২১ খ্রিস্টাব্দ
বিষয় : ২০২০ সালের উচ্চ মাধ্যমিক সার্টিফিকেট (এইচ.এস.সি) পরীক্ষার ফলাফলের ভিত্তিতে “মেধাবৃত্তি এবং “সাধারণ বৃত্তি প্রদানের নিমিত্তে চূড়ান্ত তালিকা প্রকাশ।
গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকারের মহাপরিচালক, মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা অধিদপ্তর, বাংলাদেশ, ঢাকা-এর স্মারক নম্বর৩৭.০২.০০০০.১১৭.৩১.০০১.২১-১০৮২,তারিখ: ১২-০৪-২০২১ খ্রিস্টাব্দ এর প্রেক্ষিতে মাধ্যমিক ও উচ্চ মাধ্যমিক শিক্ষা বাের্ড রাজশাহী এর ২০২০ সালের উচ্চ মাধ্যমিক সার্টিফিকেট পরীক্ষার ফলাফলের ভিত্তিতে বিজ্ঞান, মানবিক ও ব্যবসায় শিক্ষা বিভাগে তালিকাভুক্ত নিয়মিত শিক্ষার্থীদের “মেধাবৃত্তি” এবং “সাধারণ বৃত্তি প্রদান করা হ'ল । সরকারি নিয়ম ও নীতিমালা অনুযায়ী বর্ণিত বৃত্তিগুলাের বরাদ্দ (i) শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের স্মারক নম্বর৩৭.০০.০০০০.০৭১.০৮.০০১.০৫-১১২, তারিখ- ৪-২-২০১৬ (ii) শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের স্মারক নম্বর-৩৭.০০.০০০০.০৭১.০৮.০০১.০৫-৪০২, তারিখ১১-৫-২০১৫ এবং (iii) শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের স্মারক নম্বর-৩৭.০০.০০০০.০৭১.০৮.০০১.০৫-৭৪১, তারিখ- ১৪-৮-২০১৪ খ্রিস্টাব্দ সংখ্যক প্রজ্ঞাপন অনুযায়ী অনুসরণীয়।
১. বৃত্তিপ্রাপ্ত শিক্ষার্থীদেরকে অবশ্যই বাংলাদেশের নাগরিক হতে হবে।
২. বৃত্তিপ্রাপ্ত সংশ্লিষ্ট শিক্ষার্থীরা সৎ স্বভাব এবং লেখাপড়ায় সন্তোষজনক অগ্রগতির শর্ত সাপেক্ষ বলে বিবেচিত হবে।
৩. উচ্চ মাধ্যমিক সার্টিফিকেট (এইচ.এস.সি) পরীক্ষার ফলাফলের ভিত্তিতে বৃত্তি প্রদান :
ক. বৃত্তি প্রাপ্তির যােগ্যতা :
বৃত্তি প্রাপ্তির যােগ্যতা হবে নূন্যতম বৃত্তির তালিকা প্রস্তুতের ক্ষেত্রে নিম্নলিখিত বিষয়গুলাে পর্যায়ক্রমে অনুসরণ করা হয়েছে।
i. সংশ্লিষ্ট পরীক্ষায় প্রাপ্ত জিপিএ-এর (৪র্থ বিষয় ছাড়া) ভিত্তিতে বৃত্তি প্রদান করা হয়েছে।
ii. একাধিক শিক্ষার্থী একই গ্রেড পেলে ৪র্থ বিষয় ব্যতীত প্রাপ্ত মােট নম্বরের ভিত্তিতে মেধাক্রম প্রস্তুত করা হয়েছে।
iii. ৪র্থ বিষয় ব্যতীত প্রাপ্ত মােট নম্বর একই হলে ৪র্থ বিষয়সহ প্রাপ্ত মােট নম্বরের ভিত্তিতে মেধাক্রম প্রস্তুত করা হয়েছে।
iv. ৪র্থ বিষয়সহ প্রাপ্ত মােট নম্বর একই হলে পর্যায়ক্রমে বাংলা, ইংরেজীতে প্রাপ্ত মােট নম্বরের ভিত্তিতে মেধাক্রম নির্ধারিত হয়েছে।
v. পর্যায়ক্রমে বাংলা, ইংরেজী বিষয়ে প্রাপ্ত নম্বর একই হলে সংশ্লিষ্ট বিভাগে বাধ্যতামূলক ২টি বিষয়ে প্রাপ্ত সর্বমােট নম্বরের ভিত্তিতে মেধাক্রম নির্ধারিত করা
হয়েছে।
খ. এইচএসসি পরীক্ষার ফলাফলের উপর বৃত্তির সংখ্যা, হার ও মেয়াদঃ
পরীক্ষার নাম |
বৃত্তির প্রকার |
বৃত্তির সংখ্যা (বাৎসরিক) |
বৃত্তির হার |
বৃত্তির মেয়াদ |
|
মাসিক |
বার্ষিক (এককালীন) |
||||
উচ্চ মাধ্যমিক সার্টিফিকেট (HSC) |
মেধা |
১৯৪ |
৮২৫/- |
১৮০০/- |
২০২০ সালের জুলাই মাস হতে কোর্সের মেয়াদ পর্যন্ত। |
সাধারণ |
১২৬২ |
৩৭৫/- |
৭৫০/- |
৪. বৃত্তির তালিকা প্রস্তুতের ক্ষেত্রে ছাত্র/ছাত্রী অনুপাতে মেধা এবং সাধারণ বৃত্তি ৫০% ছাত্র এবং ৫০% ছাত্রী হিসাবে বণ্টন করা হয়েছে।
৫. বৃত্তির গেজেটে শিক্ষার্থী যে শিক্ষা প্রতিষ্ঠান থেকে পরীক্ষায় অংশগ্রহণ করেছে সেই প্রতিষ্ঠানের নাম থাকবে এবং প্রতিষ্ঠান প্রধানের সার্টিফিকেট প্রদান সাপেক্ষে ভর্তিকৃত প্রতিষ্ঠান থেকে টাকা উত্তোলন করবে। এরপরও বৃত্তির তালিকা প্রণয়নে কোন প্রকার সমস্যা হলে মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা অধিদপ্তরের মতামত গ্রহণ করা যেতে পারে।
৬. বিলম্বে ভর্তি, প্রতিষ্ঠান পরিবর্তন, বিষয় পরিবর্তন এবং অসুস্থতার কারণে সর্বোচ্চ ০১ (এক) বছর পাঠ বিরতি গ্রহণযােগ্য। তবে সেক্ষেত্রে বৃত্তি নিয়মিতকরণ বাধ্যতামূলক। মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা অধিদপ্তর সকল বিশ্ববিদ্যালয় ও মেডিকেল কলেজের বৃত্তিপ্রাপ্ত শিক্ষার্থীদের নিয়মিতকরণ করবে ।
৭. এ নীতিমালার আওতায় বৃত্তি সংক্রান্ত শর্তাবলী সরকারের অনুমােদনক্রমে সময় সময় আরােপিত হতে পারে। সরকার যে কোন সময় এ নীতিমালার বর্ণিত বৃত্তির শর্ত, সংখ্যা, হার ও মেয়াদ পরিবর্তন করতে পারবে এবং কোন কারণ দর্শানাে ছাড়া বৃত্তি সংশােধন ও বাতিল করতে পারবে।
৮. “মেধাবৃত্তি” বা “সাধারণ বৃত্তি” ব্যয় বাজেটের ১২৫০২০১-১০৮৭৬২-৩৮২১১১৭ বৃত্তি/মেধাবৃত্তি খাত হতে নির্বাহ করা হবে। মহা-পরিচালক, মাধ্যমিক ও উচ্চ মাধ্যমিক শিক্ষা অধিদপ্তর, ঢাকা এর স্মারক নম্বর- ৩৭.০২.০০০০.১১৭.৩১.০০১.২১-১০৮২, তারিখ- ১২-০৪-২০২১ খ্রিস্টাব্দ এর পরিপ্রেক্ষিতে সংশ্লিষ্ট বৃত্তির টাকা নিয়মিত তুলে বিতরণ করার জন্য সংশ্লিষ্ট শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের প্রধানগণকে অনুরােধ করা যাচ্ছে।
৯. বৃত্তিপ্রাপ্ত ছাত্র/ছাত্রী ছাড়পত্র নিয়ে অন্য শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে ভর্তি হলে তৎক্ষণাৎ প্রতিষ্ঠান দুটির প্রধানগণ বৃত্তি বদলীর ব্যাপারে নিম্নলিখিত তথ্যাদিসহ বোর্ডকে জানাবেন, অন্যথায় প্রয়ােজনীয় অনুমতির অভাবে সংশ্লিষ্ট বৃত্তির টাকা সময়মত উত্তোলন করা না গেলে সে জন্য সংশ্লিষ্ট প্রতিষ্ঠান প্রধানগণই দায়ী থাকবেন। বৃত্তি বদলীর বিষয়ে প্রেরিতব্য তথ্যঃ
ক) বৃত্তির টাকা উত্তোলন ও প্রদান সম্পর্কীয় পূর্ণ বিবরণ,
খ) যে বাের্ড হতে বৃত্তি দেওয়া হয়েছে তার নাম, বৃত্তির প্রকার এবং যে বিজ্ঞপ্তি মারফত বৃত্তি প্রদান করা হয়েছে তার নম্বর, তারিখ ও পৃষ্ঠা নম্বরসহ বৃত্তির ক্রমিক নম্বর ও সংশ্লিষ্ট ছাত্র-ছাত্রী রােল নম্বর।
গ) পূর্বতন প্রতিষ্ঠান প্রদত্ত ছাড়পত্রের সত্যায়িত অনুলিপি।
১০. সকল বৃত্তিপ্রাপ্ত শিক্ষার্থী বিনা বেতনের অধ্যয়নের সুযােগ লাভ করবে। সরকারী অনুমােদিত কোন শিক্ষা প্রতিষ্ঠান বৃত্তিপ্রাপ্ত শিক্ষার্থীদের নিকট | থেকে মাসিক বেতন দাবী করবে না। বৃত্তিপ্রাপ্ত শিক্ষার্থীদের নিকট থেকে মাসিক বেতন দাবী করলে ঐ শিক্ষা প্রতিষ্ঠান প্রধানের বিরুদ্ধে শাস্তিমূলক ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।
১১. বৃত্তির গেজেটে বৃত্তিপ্রাপ্ত শিক্ষার্থীদের বৃত্তির বরাদ্দকৃত অর্থ G2P পদ্ধতিতে EFT এর মাধ্যমে ব্যাংক হিসাবে প্রেরণের নিমিত্তে বাংলাদেশ তফসীলভুক্ত অনলাইন সুবিধাসম্পন্ন ব্যাংকে একাউন্ট খুলে হিসাব নম্বর ভর্তিকৃত প্রতিষ্ঠানে ০৭ (সাত) দিনের মধ্যে আবশ্যিকভাবে জমা প্রদানের জন শিক্ষার্থীদের নির্দেশ প্রদান করা হলাে।
১২. যথাসময়ে বৃত্তির টাকা না উত্তোলনের ফলে বৃত্তি তামাদি হলে সংশ্লিষ্ট শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের প্রধানগণ দায়ী থাকবেন। এ জন্য শিক্ষা বাের্ড দায়ী থাকবে না। বৃত্তিপ্রাপ্ত কোন ছাত্র/ছাত্রী বৃত্তির মেয়াদ অতিক্রান্ত হওয়ার ছয় মাসের মধ্যে বৃত্তির অর্থ গ্রহণ বা দায়ী না করলে ঐ অর্থ অবশ্যই সরকারী কোষাগারে জমা দিয়ে সংশ্লিষ্ট শিক্ষা (ট্রেজারি চালানের একটি ফটোকপি সংযুক্ত করে) মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা অধিদপ্তরকে পত্রের মারফত জানাবেন ।
১৩. এ বিজ্ঞপ্তিতে অনিচ্ছাকৃত কোন ত্রুটি পরিলক্ষিত হলে তা সংশােধন, পরিবর্তন ও পরিবর্ধন করার ক্ষমতা শিক্ষা বাের্ড সংরক্ষণ করে। শিক্ষা বাের্ড প্রয়ােজনবােধে কোন রকম কারণ না দেখিয়ে যে কোন বৃত্তি বাতিল করতে পারে। সে কারণে বৃত্তির টাকা প্রদানের পূর্বে শিক্ষা প্রতিষ্ঠান প্রধানগণ এই মর্মে বৃত্তিপ্রাপ্ত শিক্ষার্থীদের নিকট হতে লিখিত প্রতিশ্রুতি গ্রহণ করবেন যে, তারা বাের্ডের বৃত্তি সংক্রান্ত নিয়ম কানুন মেনে চলতে এবং প্রয়ােজন হলে বৃত্তির সম্পূর্ণ অর্থ ফেরত দিতে বাধ্য থাকিবে।
ফলাফল ডাউনলোড করতে
ক্লিক করুন